মোবাইল এর বিরক্তিকর অ্যাড কিভাবে সরাবেন
মোবাইল এ বিরক্তিকর অ্যাড নিয়ে বিরক্ত
নয় এমন লোক খুব কম ঐ আছে। তবে যারা নেট ইউজ না করেন তাদের কথা আলাদা। আর
যারা Imo, viber, massanger ব্যবহার করেন
তারা এর ভুক্তভুগি। Dictionary পর্যন্ত
এই লিস্ট থেকে বাদ পরেনি। তবে একটি কথা বলা বাহুল্য যে আমরা যদি কোন
অ্যাপ ব্যবহার করি তা থেকে অ্যাপ তৈরী কারি কোন টাকা পাননা। অ্যাপ এর
মধ্য যে অ্যাড দেয়া হয় সেখান থেকে অ্যাপ তৈরী কারি টাকা পান। এই জন্য প্রায় সব
অ্যাপ এ অ্যাড দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের কাছে সেই অ্যাড গুলো হয়ে ওঠে
বিরক্তিকর। আজকে আমরা দেখব মোবাইল থেকে সেই অ্যাড গুলোকে কিভাবে সরাতে পারি। এই অ্যাড
সরাতে গেলে আপনার মোবাইল টি অবশয় রুট করা থাকতে হবে।
রুট কি??
সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায়, রুট হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক।
যদিও এর বাংলা অর্থ গাছের শিকড়, লিনাক্সের
জগতে রুট বলতে সেই পারমিশন বা অনুমতিকে বোঝায় যা ব্যবহারকারীকে সর্বময়
ক্ষমতার অধিকারী করে তোলে (অবশ্যই কেবল সেই কম্পিউটার, ডিভাইস বা সার্ভারে!)। রুট হচ্ছে একটি পারমিশন বা
অনুমতি। এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই
করতে পারেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর
প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না (যেগুলো
সাধারণত সি ড্রাইভে থাকে)। লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া
সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজগুলো করা যায় না। যিনি
লিনাক্স-চালিত কম্পিউটার বা সার্ভারে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন অথবা যার সব কিছু করার
অনুমতি রয়েছে, তাকেই
রুট ইউজার বলা হয়। অনেক সময় একে সুপারইউজার বলেও সম্বোধন করা হয়ে থাকে।
শব্দটি এতোই প্রচলিত হয়ে গেছে যে,
রুট ইউজার বলার বদলে
সরাসরি রুট বলেই সেই ব্যবহারকারীকে সম্বোধন করা হয়। অর্থাৎ, আপনার লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের
আপনি যদি রুট অ্যাক্সেস প্রাপ্ত ব্যবহারকারী হন, তাহলে আপনি রুট।
রুট করার সুবিধা
পারফরমেন্স বাড়ানোঃ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল,
টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে
ফোনের গতি ঠিক রাখা।
ওভারক্লকিং
করাঃ সিপিইউ
স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো। এর মাধ্যমে
কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।
আন্ডারক্লকিং
করাঃ
যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা
কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা। এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।
কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের
হোমস্ক্রিন, লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন
একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন
নতুন সব কাস্টম ইউজার ইন্টারফেসের মাধ্যমে। এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা
হয়।
রুট করার অসুবিধা
ওয়ারেন্টি হারানোঃ ডিভাইস রুট করার
মাধ্যমে আপনার ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তাই রুট করার আগে সাবধান। অবশ্য
অনেক সেট আবার আনরুট করা যায়। আর সেট আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে
থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে সেটটি রুট করা
হয়েছিল। তবে কাস্টম রম থাকলে ধরা খাওয়া এড়ানোর উপায় নেই।
ফোন ব্রিক করাঃ
ব্রিক অর্থ ইট। আর ফোন ব্রিক মানে আপনার
ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা।
অর্থাৎ,
এর কাজ করার ক্ষমতা হারানো। রুট করা ও
এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের
সময় একটু এদিক-সেদিক হলেই ফোনে স্থায়ী
বা অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে।
আপনার ফোনের প্রস্তুতকারক কোম্পানি ফোনটি আনরুট অবস্থায়
দেন যেন এর ক্ষতি না হয়। রুট
করার মাধ্যমে আপনি সেই নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন।
আপনার ফোন রুট করার জন্য প্লে ষ্টোর এ অনেক অ্যাপ পাবেন সেখান থেকে আপ Download করে ফোন কে রুট করুন। এর পর AdAway ব্যবহার করেন দেখবেন সব অ্যাড বন্দ হয়ে গেছে। এখানে আরেকটি অসুবিধা হল আপনি যদি PTC সাইট ব্যবহার করেন সেখানে কিন্তু আর অ্যাড দেবে না।
No comments:
Post a Comment